টাঙ্গাইলের সখিপুরে শিশু অপহরণ ও নির্যাতন মামলায় এক মহিলা ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের সখিপুরে শিশু অপহরণ ও নির্যাতন মামলায় এক মহিলা ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে গ্রেফতার

টাঙ্গাইলের সখিপুরে শিশু অপহরণ ও নির্যাতন মামলায় এক মহিলা ইউপি সদস্যসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে সখিপুর থানা পুলিশ। গত রোববার রাতে উপজেলার প্রতিমা বংকী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৭নং দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য প্রতিমা বংকী গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে কহিনুর আক্তার (৩৫) তার বাবা মৃত লাল মাহমুদের ছেলে আবুল কাশেম (৫০) একই গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ (২০)। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার সকালে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতা জেরে প্রবাসী আকবরের ছেলে তানভীরকে (০৫) গত ১৫ নভেম্বর অপহরণ করে ঘরে আটকে রাখে সোহাগ। স্থানীয় ভাবে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ঐ অপহণ কারী সোহাগ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও লোকজন নিয়ে শিশু ছেলেটিকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রথমে অপহৃত শিশুর বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী এবং পরে টাঙ্গাইল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে ওই মামলায় পুলিশ ওই ইউপি সদস্যসহ অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সখিপুর থানায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শিশু অপহরণ ও নির্যাতন মামলায় মহিলা ইউপি সদস্য কহিনুরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী মো. আকবর আলী বলেন, অপহরণকারী ওই নারী ইউপি সদস্য এলাকার চিহ্নিত একজন মামলাবাজ । তিনি যে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন।

তিনি আমার নাবালক ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করেন শারীরিক নির্যাতন চালায়। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেন।পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। আমি ওই ইউপি সদস্যসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।৭নং দাড়িয়াপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী আসিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন